সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
Daily Nasa News
প্রকাশ : বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মার্কিন বাজারে বাড়ছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি

মার্কিন বাজারে বাড়ছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) এর তথ্যে দেখা যায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশটি বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে ৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক, যেখানে আগের বছর ছিল ৪ বিলিয়ন ডলার। একক মাস হিসেবে জুলাইয়েও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যার পরিমাণ ৭৩০ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী বলেন, চীনের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করেছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে।

তবে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেছে ভিয়েতনাম। দেশটি ৯ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বাংলাদেশের দ্বিগুণ। যদিও প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশে বেশি-২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যেখানে ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অন্যদিকে শুল্ক জটিলতায় যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি কমেছে ২১ শতাংশ। ভারতের অবস্থানও বাংলাদেশের পেছনে।

বিশেষ করে কম মূল্যের পণ্য যেমন টি-শার্ট, পলো, জগার, স্লিপার রপ্তানি বাড়িয়ে মার্কিন বাজার ধরে রাখছে বাংলাদেশ। বিজিএমইএর পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘যেসব পণ্য আমরা রপ্তানি করছি, প্রতিযোগী দেশগুলো সেগুলো রপ্তানি করে না। এই বাজার বহুদিন ধরে আমাদের হাতে আছে বলেই টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে।’

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় একক বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বছরে এই বাজারে রপ্তানি হয় প্রায় ৮ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

তবে এই বাজারেই জটিলতা সবচেয়ে বেশি। ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ১১ শতাংশ। তবে শুল্ক ও প্রশাসনিক জটিলতা রয়ে গেছে।

ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, এগুলো দ্রুত সমাধান করতে পারলে রপ্তানি আয় আরও বাড়বে, যা পুরো তৈরি পোশাক খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘সরকার ও বিজিএমইএকে তৈরি পোশাক মালিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। এনবিআর, বন্দর ও প্রণোদনা সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে একটি সমন্বয় সেল গঠন করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে সমাধান করা সম্ভব।’

আপনার মতামত লিখুন

পরবর্তী খবর
Daily Nasa News

সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫


মার্কিন বাজারে বাড়ছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি

প্রকাশের তারিখ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

featured Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) এর তথ্যে দেখা যায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশটি বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে ৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক, যেখানে আগের বছর ছিল ৪ বিলিয়ন ডলার। একক মাস হিসেবে জুলাইয়েও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যার পরিমাণ ৭৩০ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী বলেন, চীনের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করেছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে।

তবে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেছে ভিয়েতনাম। দেশটি ৯ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বাংলাদেশের দ্বিগুণ। যদিও প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশে বেশি-২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যেখানে ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অন্যদিকে শুল্ক জটিলতায় যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি কমেছে ২১ শতাংশ। ভারতের অবস্থানও বাংলাদেশের পেছনে।

বিশেষ করে কম মূল্যের পণ্য যেমন টি-শার্ট, পলো, জগার, স্লিপার রপ্তানি বাড়িয়ে মার্কিন বাজার ধরে রাখছে বাংলাদেশ। বিজিএমইএর পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘যেসব পণ্য আমরা রপ্তানি করছি, প্রতিযোগী দেশগুলো সেগুলো রপ্তানি করে না। এই বাজার বহুদিন ধরে আমাদের হাতে আছে বলেই টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে।’

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় একক বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বছরে এই বাজারে রপ্তানি হয় প্রায় ৮ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

তবে এই বাজারেই জটিলতা সবচেয়ে বেশি। ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ১১ শতাংশ। তবে শুল্ক ও প্রশাসনিক জটিলতা রয়ে গেছে।

ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, এগুলো দ্রুত সমাধান করতে পারলে রপ্তানি আয় আরও বাড়বে, যা পুরো তৈরি পোশাক খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘সরকার ও বিজিএমইএকে তৈরি পোশাক মালিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। এনবিআর, বন্দর ও প্রণোদনা সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে একটি সমন্বয় সেল গঠন করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে সমাধান করা সম্ভব।’


Daily Nasa News

Editor & Publisher: Shariful Islam
কপিরাইট © ২০২৫ Daily Nasa News । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত