সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
Daily Nasa News
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

পুলিশ সদস্যর প্রেম,হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে কিশোরী বোনকে পালিয়ে বিয়ের জেরে যুবক খুন

পুলিশ সদস্যর প্রেম,হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে কিশোরী বোনকে পালিয়ে বিয়ের জেরে যুবক খুন

আকিকুর রহমান রুমন,হবিগঞ্জ।

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পুলিশ সদস্যর প্রেমের জের ধরে বোনের ভাই'র অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে এক যুবক খুন হয়েছে।গতকাল ২২ শে অক্টোবর বুধবার বেলা ৫টার দিকে উপজেলার ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের বলাকিপুর গ্রামে পুলিশ সদস্যর প্রেমের বলি হয়েছে তার আপন ছোট্ট ভাই সাদেক মিয়া (২৫) নামের এক যুবক।প্রেমঘটিত বিরোধের জের ধরে পুলিশ সদস্যর সাথে পালিয়ে যাওয়া বোনের বড় ভাই বিষয়টি মানতে না পেরে পুলিশ সদস্যর ছোট্ট ভাই সাদেক মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বলাকিপুর গ্রামের সারাজ মোল্লার ছেলে রিয়াদের বোনকে একই গ্রামের নিহত হওয়া যুবক সাদেক মিয়ার বড় ভাই পুলিশ সদস্য এনায়েদ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো।এই সম্পর্কের মাধ্যমে রিয়াদের কিশোরী বোনকে পুলিশ সদস্য প্রেমিক এনায়েদ মিয়া পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন।আর এই বিয়েটি রিয়াদ ও তার পরিবারের লোকজন মেনে নিতে পারেননি।এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় এবং উত্তেজনা বিরাজ করছিল।এই প্রতিশোধ নিতে রিয়াদ ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্য এনায়েদ মিয়ার ছোট ভাই সাদেক মিয়ার উপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে।


পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশ ভারী হয়ে উঠে।পুরো হাসপাতালে এক নিরবতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।এদিকে এই ঘটনার পর পর অভিযুক্ত হত্যাকারী রিয়াদ পালিয়ে যায়।গ্রামে রিয়াদের হামলার ঘটনাটি ও সাদেক মিয়ার মিয়ার মৃত্যুর খবরটি স্বজনদের মধ্যে জানাজানি হয়ে পড়লে উত্তেজনা বিরাজ করার খবর পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে সন্ধ্যার দিকে বানিয়াচং থানা পুলিশ জানান,লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত রিয়াদে গ্রেফতার করতে আমাদের চেষ্টা চলছে।এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান এর সাথে সর্বশেষ জানতে রাত ১১টা ১০মিনিটে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাদেক মিয়ার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আজ দু'টি হত্যাকান্ডের মূল মোটিভ উন্মোচনে তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে তিনি সহ তার পুলিশ বাহিনী বর্তমান সময়ে অভিযানে রয়েছেন বলে জানান।

তবে এই দু'টি ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি এবং পরিবারের পক্ষ হতেও কোন অভিযোগ পান নাই বলে জানিয়েছেন।লাশ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।সর্বশেষ মাদ্রাসা ছাত্র মঈনুল হাসান এর পিতা,তার পুত্রকে হত্যা করে সেই হাওরের ডোবাতে ফেলে রাখা হয়েছে জানিয়ে বলেন তিনি তার পুত্রের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন।এছাড়াও তিনি আরো বলেন,হাসপাতালে কোন ডাক্তার না থাকায় এবং বলাকিপুরের আরেকটি লাশ আসায় আজ ২৩ শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে দু'টি লাশের ময়না তদন্ত করা হবে।এজন্য তিনি তার পুত্র মঈনুল হাসান এর লাশের পাশে হাসপাতালে রয়েছেন।


বিষয় : পুলিশ যুবক বোন সিলেট বিয়ে খুন

আপনার মতামত লিখুন

পরবর্তী খবর
Daily Nasa News

সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫


পুলিশ সদস্যর প্রেম,হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে কিশোরী বোনকে পালিয়ে বিয়ের জেরে যুবক খুন

প্রকাশের তারিখ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

আকিকুর রহমান রুমন,হবিগঞ্জ।

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পুলিশ সদস্যর প্রেমের জের ধরে বোনের ভাই'র অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে এক যুবক খুন হয়েছে।গতকাল ২২ শে অক্টোবর বুধবার বেলা ৫টার দিকে উপজেলার ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের বলাকিপুর গ্রামে পুলিশ সদস্যর প্রেমের বলি হয়েছে তার আপন ছোট্ট ভাই সাদেক মিয়া (২৫) নামের এক যুবক।প্রেমঘটিত বিরোধের জের ধরে পুলিশ সদস্যর সাথে পালিয়ে যাওয়া বোনের বড় ভাই বিষয়টি মানতে না পেরে পুলিশ সদস্যর ছোট্ট ভাই সাদেক মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বলাকিপুর গ্রামের সারাজ মোল্লার ছেলে রিয়াদের বোনকে একই গ্রামের নিহত হওয়া যুবক সাদেক মিয়ার বড় ভাই পুলিশ সদস্য এনায়েদ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো।এই সম্পর্কের মাধ্যমে রিয়াদের কিশোরী বোনকে পুলিশ সদস্য প্রেমিক এনায়েদ মিয়া পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন।আর এই বিয়েটি রিয়াদ ও তার পরিবারের লোকজন মেনে নিতে পারেননি।এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় এবং উত্তেজনা বিরাজ করছিল।এই প্রতিশোধ নিতে রিয়াদ ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্য এনায়েদ মিয়ার ছোট ভাই সাদেক মিয়ার উপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে।


পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশ ভারী হয়ে উঠে।পুরো হাসপাতালে এক নিরবতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।এদিকে এই ঘটনার পর পর অভিযুক্ত হত্যাকারী রিয়াদ পালিয়ে যায়।গ্রামে রিয়াদের হামলার ঘটনাটি ও সাদেক মিয়ার মিয়ার মৃত্যুর খবরটি স্বজনদের মধ্যে জানাজানি হয়ে পড়লে উত্তেজনা বিরাজ করার খবর পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে সন্ধ্যার দিকে বানিয়াচং থানা পুলিশ জানান,লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত রিয়াদে গ্রেফতার করতে আমাদের চেষ্টা চলছে।এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান এর সাথে সর্বশেষ জানতে রাত ১১টা ১০মিনিটে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাদেক মিয়ার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আজ দু'টি হত্যাকান্ডের মূল মোটিভ উন্মোচনে তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে তিনি সহ তার পুলিশ বাহিনী বর্তমান সময়ে অভিযানে রয়েছেন বলে জানান।

তবে এই দু'টি ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি এবং পরিবারের পক্ষ হতেও কোন অভিযোগ পান নাই বলে জানিয়েছেন।লাশ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।সর্বশেষ মাদ্রাসা ছাত্র মঈনুল হাসান এর পিতা,তার পুত্রকে হত্যা করে সেই হাওরের ডোবাতে ফেলে রাখা হয়েছে জানিয়ে বলেন তিনি তার পুত্রের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন।এছাড়াও তিনি আরো বলেন,হাসপাতালে কোন ডাক্তার না থাকায় এবং বলাকিপুরের আরেকটি লাশ আসায় আজ ২৩ শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে দু'টি লাশের ময়না তদন্ত করা হবে।এজন্য তিনি তার পুত্র মঈনুল হাসান এর লাশের পাশে হাসপাতালে রয়েছেন।



Daily Nasa News

Editor & Publisher: Shariful Islam
কপিরাইট © ২০২৫ Daily Nasa News । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত