সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
Daily Nasa News
প্রকাশ : শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে রাসেল মার্কেটের জমি নিয়ে বিরোধে আদালতের নির্দেশঃ নিজ নিজ ভোগদখলে থাকার আদেশ

শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে রাসেল মার্কেটের জমি নিয়ে বিরোধে আদালতের নির্দেশঃ নিজ নিজ ভোগদখলে থাকার আদেশ

শায়েস্তাগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে রাসেল মার্কেটের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা মালিকানা বিরোধে আদালত উভয় পক্ষকে নিজ নিজ ভোগদখলে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।এতে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায় রাসেল মার্কেটের জমি নিয়ে ফজলে রাব্বি রাসেল গং ও সাহিদা আক্তার রুনুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে গত ৯ ই সেপ্টেম্বর সাহিদা আক্তার রুনু বাদী হয়ে ফজলে রাব্বি রাসেলের পিতা আবুল লাইছসহ ছয়জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন এস এ রেকর্ড অনুযায়ী এসএ ১৩৩ দাগে,আরএস ১৯২ ও ১৭৬ দাগে মোট ৭ শতক জমি তিনি বৈধভাবে ক্রয় করেন।কিন্তু পরবর্তীতে ফজলে রাব্বি রাসেল উক্ত জমি দখল করে সেখানে ‘রাসেল মার্কেট’ নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছেন।

মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর উক্ত জমির “বর্তমান অবস্থা” (স্ট্যাটাস কো) বজায় রাখার নির্দেশ দেন। পরে ২১ শে অক্টোবর আদালত পূর্বের আদেশ প্রত্যাহার করে উভয় পক্ষকে তাদের নিজ নিজ ভোগদখলে থাকা জমিতে অবস্থান বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।আদালতের নির্দেশে বলা হয়, কোনো পক্ষই অপর পক্ষের দখলে থাকা জমিতে প্রবেশ বা দখল পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারবে না।

স্থানীয়রা জানান এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আদালতের সর্বশেষ নির্দেশে পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত রয়েছে।

এদিকে জমিটির মালিকানা ইতিহাস অনুসন্ধান করে জানা যায়, এস.এ রেকর্ডীয় মালিক মাহমুদ হোসেনের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে তালিব হোসেন ১৩২ দাগে ৬০ শতক এবং ১৩৩ দাগে ১১১ শতক জমির মধ্যে মোট ৮৩ শতক (আড়াই কেদার) ভূমি রফিক উল্লাহর কাছে বিক্রি করেন।পরবর্তীতে রফিক উল্লাহর কাছ থেকে সৈয়দ ছমির আলী ৩৭৭৪/৮৭ নম্বর দলিল মূলে ৫২ শতক জমি ক্রয় করেন।

এরপর সৈয়দ ছমির আলী এস.এ ১৩৩ দাগের উক্ত ৫২ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক আবু তাহেরের কাছে বিক্রি করেন এবং আরও ১০ শতক ভূমি এল.এ কেস নং ০১/২০০০/২০০১ ইং মূলে সরকার একওয়ারভুক্ত করে নেয়। অবশিষ্ট ৩২ শতক জমি তিনি তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে পৃথক চৌহুদ্দি নির্ধারণ করে পৃথক দলিলের মাধ্যমে বণ্টন করে দেন।

ছোট ছেলে সৈয়দ ফোরকান আলী ৩৩৪৪/০৯ ও ৬৫৩/১৪ নম্বর দলিলের মাধ্যমে তিনটি চৌহুদ্দিতে ১৩.৫০ শতক (সাড়ে তের শতক) জমি প্রাপ্ত হন এবং হবিগঞ্জ শাখা আইডিএলসি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ গ্রহণ করেন। পরে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত জমি নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে, যেখানে ফজলে রাব্বি রাসেল জমিটি ক্রয় করে নিজের নামে দখল নেন।

তবে একই রেকর্ডভুক্ত ওই জমির সংলগ্ন ভূমিও মালিকানা দাবি করেছেন সাহিদা আক্তার রুনু। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী,তিনি এস.এ রেকর্ডীয় মালিক মাহমুদ হোসেনের কন্যা আমর চাঁন বিবির ওয়ারিশদের কাছ থেকে এস.এ ১৩৩ দাগ এবং আর.এস ১৯২ ও ১৭৬ দাগে মোট ৭ শতক জমি ক্রয় করেছেন। অভিযোগ অনুসারে, নিলামকৃত জমির সংলগ্ন অবস্থায় থাকা তাঁর প্রায় ২ শতক জমি ফজলে রাব্বি রাসেল দখলে নিয়ে পূর্ববর্তী সরকারের সময় প্রভাব খাটিয়ে উক্ত দখল বজায় রেখেছেন।

অন্য দিকে ফজলে রাব্বি রাসেল ৭০৩১/১৮ নম্বর রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মূলে ১৩.৫০ শতক জমি নিলামে ক্রয় করে তিনটি পৃথক চৌহুদ্দিতে মোট ৯২ শতকের সীমা দেখান।এ বিষয়ে সাহিদা আক্তার রুনু অভিযোগ করেন, “রাসেল নিলামে মাত্র ১৩.৫০ শতক জমি ক্রয় করলেও দলিলে ৯২ শতকের চৌহুদ্দি দেখানো হয়েছে,যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মনগড়া।ভূমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এ চৌহুদ্দি দাখিল করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান রাসেল ওই জমি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন এবং তাকে ভয়ভীতি ও নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে রেখেছেন।একই সময়ে তার বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট থাকায় উক্ত ভূমি তার পিতা আবুল লাইছকে দেখভালের জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করে তিনি গত বছর দেশত্যাগ করেন।

এদিকে চাকরিজনিত কারণে সাহিদা আক্তার রুনু জমি দেখভাল করতে না পেরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়াকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন।পরে জিয়াউর রহমান আদালতে জমি উদ্ধারের মামলা দায়ের করলে আদালত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

এরপর ফজলে রাব্বি রাসেলের পক্ষ থেকে নাজমুল হাসান নামে এক ব্যক্তি জিয়া ও অন্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করলে জিয়া ও জসিম উদ্দিনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।পরবর্তীতে মিটার চুরির মামলাসহ একাধিক হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের অভিযোগও ওঠে রাসেল পক্ষের বিরুদ্ধে।

এদিকে গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর ফজলে রাব্বি রাসেলের পিতা আবুল লাইছ বাদী হয়ে সাহিদা আক্তার রুনুসহ নয়জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি স্বত্ত্ব মামলা (নং-৩৪০/২৫) দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিলামে প্রাপ্ত ১৩.৫০ (সাড়ে তের শতক) ভূমিতে সাহিদা আক্তার রুনু ও তার লোকজন যেন জোরপূর্বক দখল নিতে না পারে এবং দোকানে তালা না দিতে পারে,সে বিষয়ে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

আদালত উক্ত ১৩.৫০ শতক (সাড়ে তের শতক) জমিতে ফজলে রাব্বি রাসেল, তার সহযোগী, ভাড়াটিয়া এবং বিবাদীপক্ষের সকলের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সঙ্গে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) আদালতের আদেশটি যথাযথভাবে কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। আদালতের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে,সাহিদা আক্তার রুনুর আর.এস ১৯২ দাগের ২ শতক জমি ব্যতীত ফজলে রাব্বি রাসেলের মালিকানাধীন ১৩.৫০ শতক জমিতে কোনো পক্ষই প্রবেশ করতে বা সেখানে দোকানপাট স্থাপন করতে পারবে না।

আপনার মতামত লিখুন

পরবর্তী খবর
Daily Nasa News

সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫


শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে রাসেল মার্কেটের জমি নিয়ে বিরোধে আদালতের নির্দেশঃ নিজ নিজ ভোগদখলে থাকার আদেশ

প্রকাশের তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

শায়েস্তাগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে রাসেল মার্কেটের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা মালিকানা বিরোধে আদালত উভয় পক্ষকে নিজ নিজ ভোগদখলে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।এতে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায় রাসেল মার্কেটের জমি নিয়ে ফজলে রাব্বি রাসেল গং ও সাহিদা আক্তার রুনুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে গত ৯ ই সেপ্টেম্বর সাহিদা আক্তার রুনু বাদী হয়ে ফজলে রাব্বি রাসেলের পিতা আবুল লাইছসহ ছয়জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন এস এ রেকর্ড অনুযায়ী এসএ ১৩৩ দাগে,আরএস ১৯২ ও ১৭৬ দাগে মোট ৭ শতক জমি তিনি বৈধভাবে ক্রয় করেন।কিন্তু পরবর্তীতে ফজলে রাব্বি রাসেল উক্ত জমি দখল করে সেখানে ‘রাসেল মার্কেট’ নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছেন।

মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর উক্ত জমির “বর্তমান অবস্থা” (স্ট্যাটাস কো) বজায় রাখার নির্দেশ দেন। পরে ২১ শে অক্টোবর আদালত পূর্বের আদেশ প্রত্যাহার করে উভয় পক্ষকে তাদের নিজ নিজ ভোগদখলে থাকা জমিতে অবস্থান বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।আদালতের নির্দেশে বলা হয়, কোনো পক্ষই অপর পক্ষের দখলে থাকা জমিতে প্রবেশ বা দখল পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারবে না।

স্থানীয়রা জানান এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আদালতের সর্বশেষ নির্দেশে পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত রয়েছে।

এদিকে জমিটির মালিকানা ইতিহাস অনুসন্ধান করে জানা যায়, এস.এ রেকর্ডীয় মালিক মাহমুদ হোসেনের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে তালিব হোসেন ১৩২ দাগে ৬০ শতক এবং ১৩৩ দাগে ১১১ শতক জমির মধ্যে মোট ৮৩ শতক (আড়াই কেদার) ভূমি রফিক উল্লাহর কাছে বিক্রি করেন।পরবর্তীতে রফিক উল্লাহর কাছ থেকে সৈয়দ ছমির আলী ৩৭৭৪/৮৭ নম্বর দলিল মূলে ৫২ শতক জমি ক্রয় করেন।

এরপর সৈয়দ ছমির আলী এস.এ ১৩৩ দাগের উক্ত ৫২ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক আবু তাহেরের কাছে বিক্রি করেন এবং আরও ১০ শতক ভূমি এল.এ কেস নং ০১/২০০০/২০০১ ইং মূলে সরকার একওয়ারভুক্ত করে নেয়। অবশিষ্ট ৩২ শতক জমি তিনি তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে পৃথক চৌহুদ্দি নির্ধারণ করে পৃথক দলিলের মাধ্যমে বণ্টন করে দেন।

ছোট ছেলে সৈয়দ ফোরকান আলী ৩৩৪৪/০৯ ও ৬৫৩/১৪ নম্বর দলিলের মাধ্যমে তিনটি চৌহুদ্দিতে ১৩.৫০ শতক (সাড়ে তের শতক) জমি প্রাপ্ত হন এবং হবিগঞ্জ শাখা আইডিএলসি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ গ্রহণ করেন। পরে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত জমি নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে, যেখানে ফজলে রাব্বি রাসেল জমিটি ক্রয় করে নিজের নামে দখল নেন।

তবে একই রেকর্ডভুক্ত ওই জমির সংলগ্ন ভূমিও মালিকানা দাবি করেছেন সাহিদা আক্তার রুনু। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী,তিনি এস.এ রেকর্ডীয় মালিক মাহমুদ হোসেনের কন্যা আমর চাঁন বিবির ওয়ারিশদের কাছ থেকে এস.এ ১৩৩ দাগ এবং আর.এস ১৯২ ও ১৭৬ দাগে মোট ৭ শতক জমি ক্রয় করেছেন। অভিযোগ অনুসারে, নিলামকৃত জমির সংলগ্ন অবস্থায় থাকা তাঁর প্রায় ২ শতক জমি ফজলে রাব্বি রাসেল দখলে নিয়ে পূর্ববর্তী সরকারের সময় প্রভাব খাটিয়ে উক্ত দখল বজায় রেখেছেন।

অন্য দিকে ফজলে রাব্বি রাসেল ৭০৩১/১৮ নম্বর রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মূলে ১৩.৫০ শতক জমি নিলামে ক্রয় করে তিনটি পৃথক চৌহুদ্দিতে মোট ৯২ শতকের সীমা দেখান।এ বিষয়ে সাহিদা আক্তার রুনু অভিযোগ করেন, “রাসেল নিলামে মাত্র ১৩.৫০ শতক জমি ক্রয় করলেও দলিলে ৯২ শতকের চৌহুদ্দি দেখানো হয়েছে,যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মনগড়া।ভূমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এ চৌহুদ্দি দাখিল করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান রাসেল ওই জমি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন এবং তাকে ভয়ভীতি ও নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে রেখেছেন।একই সময়ে তার বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট থাকায় উক্ত ভূমি তার পিতা আবুল লাইছকে দেখভালের জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করে তিনি গত বছর দেশত্যাগ করেন।

এদিকে চাকরিজনিত কারণে সাহিদা আক্তার রুনু জমি দেখভাল করতে না পেরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়াকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন।পরে জিয়াউর রহমান আদালতে জমি উদ্ধারের মামলা দায়ের করলে আদালত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

এরপর ফজলে রাব্বি রাসেলের পক্ষ থেকে নাজমুল হাসান নামে এক ব্যক্তি জিয়া ও অন্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করলে জিয়া ও জসিম উদ্দিনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।পরবর্তীতে মিটার চুরির মামলাসহ একাধিক হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের অভিযোগও ওঠে রাসেল পক্ষের বিরুদ্ধে।

এদিকে গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর ফজলে রাব্বি রাসেলের পিতা আবুল লাইছ বাদী হয়ে সাহিদা আক্তার রুনুসহ নয়জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি স্বত্ত্ব মামলা (নং-৩৪০/২৫) দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিলামে প্রাপ্ত ১৩.৫০ (সাড়ে তের শতক) ভূমিতে সাহিদা আক্তার রুনু ও তার লোকজন যেন জোরপূর্বক দখল নিতে না পারে এবং দোকানে তালা না দিতে পারে,সে বিষয়ে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

আদালত উক্ত ১৩.৫০ শতক (সাড়ে তের শতক) জমিতে ফজলে রাব্বি রাসেল, তার সহযোগী, ভাড়াটিয়া এবং বিবাদীপক্ষের সকলের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সঙ্গে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) আদালতের আদেশটি যথাযথভাবে কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। আদালতের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে,সাহিদা আক্তার রুনুর আর.এস ১৯২ দাগের ২ শতক জমি ব্যতীত ফজলে রাব্বি রাসেলের মালিকানাধীন ১৩.৫০ শতক জমিতে কোনো পক্ষই প্রবেশ করতে বা সেখানে দোকানপাট স্থাপন করতে পারবে না।


Daily Nasa News

Editor & Publisher: Shariful Islam
কপিরাইট © ২০২৫ Daily Nasa News । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত