সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
Daily Nasa News

বিদেশিদের হাতে কক্সবাজার রেলস্টেশনের পরিচালনার ভার তুলে দিতে দরপত্র আহবানের প্রস্তুতি

মোঃ রেজাউল করিম,কক্সবাজার।   ইজারা বা বরাদ্দ না দেওয়ায় অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের কক্সবাজার রেলস্টেশনের বিভিন্ন স্থাপনা।এই রেলস্টেশন নির্মাণের দুই বছর পর এখন এর পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করছে খোদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।এমনকি দেশি একক কোনো প্রতিষ্ঠানের উপরও ভরসা করতে রাজি নয় রেল মন্ত্রণালয়।এ পরিস্থিতিতে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের হাতে কক্সবাজার রেলস্টেশনের পরিচালনার ভার তুলে দেওয়া হবে।এ নিয়ে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি চলছে।২০২৩ ইং সালের ১১ ই নভেম্বর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন উদ্বোধন হয়।ঐ বছরের ১ লা ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও স্টেশনের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয়নি।বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে "পর্যটক" ও "কক্সবাজার এক্সপ্রেস" নামের দুটি ট্রেন চলাচল করছে।স্টেশন পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে শুধু ইউটিলিটি খাতেই প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে হিসাব করেছে রেলওয়ে।রেলওয়ে সূত্র বলছে এত ব্যয়ভার তাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই স্টেশনটি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পরিচালনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।কোটি টাকার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করছে চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিআরইসি),চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) এবং বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মোঃ হাদিউজ্জামান কালবেলাকে বলেন "উদ্যোগের অভাবে এমন অবচয় হচ্ছে।সঠিক পরিকল্পনা ও পরিচালনার অভাবে শত কোটি টাকার বিশাল স্টেশনের কোনো সুফল মিলছে না।বিনিয়োগের রিটার্ন না আসায় এটি এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সব কিছুতে শুধু বিদেশিদের উপর নির্ভর করা ঠিক নয়,দেশীয় প্রতিষ্ঠানও তৈরি করা জরুরি"।

বিদেশিদের হাতে কক্সবাজার রেলস্টেশনের পরিচালনার ভার তুলে দিতে দরপত্র আহবানের প্রস্তুতি